Wednesday, December 11, 2024
HomeBreakingঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত পরিবারের পাশে পিকাই রোজলী

ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত পরিবারের পাশে পিকাই রোজলী

নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি ৪ এপ্রিল:ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ময়নাগুড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাত্র আড়াই মিনিটের ঝড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। মাথা গোঁজার ছাদ হারিয়ে তাঁদের রাত কাটছে খোলা আকাশের নীচে ত্রিপল টাঙিয়ে। আর সেই সমস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌছে যাচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থারা। একইভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহ শুকনো খাবার নিয়ে ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকায় পৌছালেন রোজলি পিকাইরাও।

গত রবিবার বিকেলে আচমকাই ধেয়ে আসে টর্নেডো। নিমেষেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে যায় জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের একের পর এক গ্রাম। ঘরবাড়ি সব হারিয়ে আজ নিঃস্ব গ্রামবাসীরা। খোলা আকাশে দিন কাটছে বার্নিশ, মাধবডাঙ্গা, ধর্মপুরের মতো বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের।
কী করবেন? কী খাবেন? এই দুঃশ্চিন্তাতেই খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন কয়েক’শো পরিবার। ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। মাথা গোঁজার ছাদ হারিয়ে তাঁদের রাত কাটছে খোলা আকাশের নীচে ত্রিপল টাঙিয়ে।

যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে বিধ্বস্ত গ্রামগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসনও। খাদ্যসামগ্রী থেকে রান্নার বাসনপত্র পৌঁছে গিয়েছে প্রতিটি বাড়িতে। দেওয়া হয়েছে ত্রিপল। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেওয়া হচ্ছে দুবেলা খাবার। কিন্তু শুধু দুবেলা খাবার নয়, নারীদের ব্যবহার্য বেশ কিছু জিনিস রয়েছে, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সেই সমস্ত ত্রাণ নিয়ে পৌছে গেল শিলিগুড়ির রিপ মিনিস্ট্রি সংস্থার সদস্যরা। দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হল স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন সামগ্রী। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে পৌছে দেওয়া হবে আরও ত্রাণ। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। আপনারা কি বাড়িয়ে দেবেন সাহায্যের হাত। যদি অল্প অল্প করেও সাহায্য করেন, তাতেও অনেকটা সুবিধা পাবেন ওই নিঃস্ব পরিবারগুলো, দাবি সমাজসেবী পিকাই ওরফে কৌস্তুভ দত্তের ও রোজলী দত্তের।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments