নিজস্ব সংবাদদাতা শিলিগুড়ি ৮ ডিসেম্বর:বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কাজের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঝপথেই সব শেষ। ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে প্রাণ দিতে হলো গাড়ির নীচে। বেপরোয়া স্কুল বাসের ধাক্কায় মৃত্যু এক ৭০ বছরের বৃদ্ধার। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
মৃতের নাম দীপালি নন্দী। তিনি মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত হাসপাতাল মোড় এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।আজ সকালে দীপালি দেবী কোনও কাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে রেললাইন পার করে শুটকিহাট গুদাম সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় পার করছিলেন। ঠিক সেই সময় সামনে থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি বেসরকারি স্কুল বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ওই বৃদ্ধা রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়লে বাসটি বৃদ্ধাকে চাপা দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের মাটিগাড়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যদিও সেখানে পৌছানোর পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসটি বেশ দ্রুত গতিতে আসছিল। বৃদ্ধার সামনে আসতেই আর কোনোভাবেই সামাল দিতে না পেরে তাকে ধাক্কা মেরে চলে যায় বাসটি। সাতসকালে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। বাসটি কোন স্কুলের, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবারও বেসরকারি স্কুল বাসগুলোর বেপরোয়া আচরণ ও নজরদারির অভাব সামনে এসেছে।
সম্প্রতি স্কুল বাসের নিরাপত্তা ও গতিনিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রাফিক ডিসিপি কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বেসরকারি স্কুল পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাসগুলির গতি কমানো, নজরদারি বাড়ানো সহ একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে—
ডিসিপির নির্দেশ কি আদৌ কার্যকর করছে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ?
পরিচালকদের নির্দেশ জারি সত্ত্বেও স্কুল বাসগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা দেখা যাচ্ছে, যার ফলেই আজ এক নিরীহ বৃদ্ধার প্রাণহানি ঘটল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাটিগাড়া পুলিশ।
