নিজস্ব সংবাদদাতা শিলিগুড়ি, ২ ডিসেম্বর:বেশিরভাগ স্কুল বাস নিয়ম মেনে চলছেনা।
ইন্সুরেন্স পলিউশন সিট বেল্ট আলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিকেই মাঝে মাঝে মিলছে অনিয়মের অভিযোগ।
কিছুদিন আগে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের তরফ থেকে স্কুল বাসের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু স্কুল বাসের জরিমানা হয়।
এবার শিশুদের নিরাপত্তায় স্কুল বাস নিয়ে কড়া পদক্ষেপ শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের।
শিলিগুড়িতে স্কুল বাস চলাচল নিয়ে আজ ট্রাফিক ডি.সি.পি কাজি সামসুদ্দিন আহমদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
শিশুদের নিরাপত্তা ও শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে জোর দিচ্ছে শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ।
শিলিগুড়ির ৫০টি বড় বড় স্কুলের মোট ৭১৪টি বাস রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২৮০০ ট্রিপ দেয় ওই বাশগুলি।
যা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ডি.সি.পি কাজি সামসুদ্দিন আহমদ আজ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে স্কুল বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে স্কুলগুলির বাসের সংখ্যা, রুট, সময়সূচি সহ বিস্তৃত আলোচনা হয়।
ডি.সি.পি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই বাস পরিচালনায় কোনও ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, শিলিগুড়িতে ৫০টিরও বেশি বড় স্কুল রয়েছে এবং এই সব স্কুল মিলিয়ে ৭১৪টি বাস প্রতিদিন চারবার মিলিয়ে মোট প্রায় ২৮০০ ট্রিপ করে। যা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ডি.সি.পি আহমদ শিলিগুড়ি শহরের বেসরকারি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে শহরের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বড় বাস ব্যবহার কমিয়ে ছোট গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন, যাতে যানজট কমে।
এছাড়াও তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি কঠোর নির্দেশ দেন—
বাস চালকদের লাইসেন্স ও ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা বাধ্যতামূলক।
পুলিশ ও স্কুল মিলে নতুন বাস স্টপ নির্ধারণ করা।
এলোমেলোভাবে বাস থামানো বা চলাচল বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া।
তিনি জানান, নতুনভাবে নির্ধারিত বাস স্টপের মাধ্যমে শহরের অনিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল কমবে এবং জ্যাম নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নেবে।
স্কুল বাসের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে ডি.সি.পি স্কুলগুলিকে বাসে CCTV, GPS, মহিলা পরিচারিকা, ফার্স্ট-এড বক্স বাধ্যতামূলকভাবে এবং সঠিকভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
